প্রকাশন. pp. 282–284. “৪। আরবীকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করা হয়। আরবী ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা রূপে গৃহীত হইবে। পূর্ব পাকিস্তান আরবী সংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যকারী সমিতি ডক্টর শহীদুল্লাহর অভিমতঃ ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জিয়াউদ্দীন আহমদ পাকিস্তানের প্রদেশসমূহের বিষালয়ে শিক্ষার বাহনরূপে প্রাদেশিক ভাষার পরিবর্তে উর্দু বাহিন্দী ভাষা গ্রহণ করা হইলে ইহা রাজনৈতিক পরাধীনতারই নামান্তর হইবে। ডাঃ জিয়াউদ্দীন আহমদ হিন্দীকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করার জন্যে দেশের বিভিন্ন স্তরের কিছু ব্যক্তি নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন। এঁদের মধ্যে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা' শীর্ষক একটি প্রবন্ধ দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ১ (১২ শ্রাবণ ১৩৫৪ বঙ্গাব্দ, ২৯ জুলাই ১৯৪৭) এ প্রবন্ধে তিনি বলেন: কংগ্রেসের নির্দিষ্ট হিন্দীর অনুকরণে উর্দু পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা রূপে গৃহীত হইবে। কিন্তু বর্তমানে আরবী পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম সার্থক হইবে, যেদিন আরবী সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা রূপে গৃহীত হইবে। পূর্ব পাকিস্তান আরবী সংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যকারী সমিতি ডক্টর শহীদুল্লাহর অভিমতঃ ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জিয়াউদ্দীন আহমদ হিন্দীকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবঃ বাংলা ভাষায় আরবী হরফ প্রবর্তনের ঘোর বিরোধিতা সত্ত্বেও ধর্মীয় কারণে আরবীর প্রতি একটা বিশেষ দুর্বলতা এর পূর্বেও ব্যক্ত করেছেন। কয়েক বছর পূর্বে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সেদিন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম সার্থক হইবে, যেদিন আরবী সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ করার বিপদ এ দুইয়ের ফলেই খুব সম্ভবতঃ রবীন্দ্রনাথ বর্মীর উচু সমর্থন। কিন্তু কারণ যাই যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধির পক্ষে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ওকালতি নিতান্তই অস্বাভাবিক। একদিকে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা লাভের ভয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে দাবী করার অক্ষমতা এবং অম্লদিকে আরবীর মতো একটি সম্পূর্ণ বিদেশী ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণের যথেষ্ট অন্তরায় আছে। উর্দু শিক্ষ। সম্পর্কে ডক্টর শহীদুল্লাহ ধর্মের প্রসঙ্গ একেবারেই উত্থাপন করেননি। এক শ্রেণীর লোকে উর্দু'র সপক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন। ১ (১২ শ্রাবণ ১৩৫৪ বঙ্গাব্দ, ২৯ জুলাই ১৯৪৭) এ প্রবন্ধে তিনি বলেন: কংগ্রেসের নির্দিষ্ট হিন্দীর