ukuleles

রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা লাভের ভয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে দাবী করার অক্ষমতা এবং অম্লদিকে আরবীর মতো একটি সম্পূর্ণ বিদেশী ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ করার বিপদ এ দুইয়ের ফলেই খুব সম্ভবতঃ রবীন্দ্রনাথ বর্মীর উচু সমর্থন। কিন্তু কারণ যাই যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধির পক্ষে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ওকালতি নিতান্তই অস্বাভাবিক। একদিকে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা লাভের ভয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে দাবী করার অক্ষমতা এবং অম্লদিকে আরবীর মতো একটি সম্পূর্ণ বিদেশী ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে গণ্য হইলে তাহা শুধু পশ্চাদগমনই হইবে।---ইংরেজী ভাষার বিরুদ্ধে একমাত্র যুক্তি এই যে ইহা পাকিস্তান ডোমিনিয়নের কোনো প্রদেশের অধিবাসীরই মাতৃভাষা নয়। উর্দুর বিপক্ষেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। পাকিস্তান ডোমিনিয়নের কোনো প্রদেশের অধিবাসীরই মাতৃভাষা নয়। উর্দুর বিপক্ষেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। পাকিস্তান ডোমিনিয়নের কোনো প্রদেশের অধিবাসীরই মাতৃভাষা নয়। উর্দুর বিপক্ষেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। পাকিস্তান ডোমিনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীদের মাতৃভাষা বিভিন্ন যেমন— পুষ্তু, বেলুচী, পাঞ্জাবী, সিন্ধী, এবং বাংলা কিন্তু উর্দু পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণের যথেষ্ট অন্তরায় আছে। উর্দু শিক্ষ। সম্পর্কে ডক্টর শহীদুল্লাহ বলেন : পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের জনগণের মধ্যে যোগ স্থাপনের জন্য, বাহারা উচ্চ রাজকর্মচারী ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী প্রত্যেক নাগরিকেরই উর্দু শিক্ষা করা প্রয়োজন। এই ভাষা উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য ইংরেজীই আছে। ইহা অনস্বীকার্য বাস্তব ব্যাপার (fict)। কিন্তু জনসাধারণের মধ্যে ইহা চলে না। উর্দুর আবশ্যকতা আছে। এইজন্য রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম সার্থক হইবে, যেদিন আরবী সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্যে আইন মোতাবেক আন্দোলন চালানো হবে বলে সেই সভায় একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ৩ স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর জাহিদ হোসেনও আরবীকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশের অনুকরণে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার এই সব প্রস্তাব অবশ্য পাকিস্তানের কোনো অংশেই তেমন কোনো সমর্থন লাভ করে নাই। তবে এই দাবী ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশের প্রশ্নের সাথে জড়িত থাকায় তা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রভাষা উর্দু এবং ইংরেজী ভাষা সম্পর্কে তাঁর অন্যান্ত বক্তব্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। তিনি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা রূপে গৃহীত হইবে। কিন্তু বর্তমানে আরবী পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের জনগণের মধ্যে যোগ স্থাপনের জন্য, বাহারা উচ্চ রাজকর্মচারী কিংবা রাজনীতিক হইবেন, তাঁহাদের জন্ম একটি আন্তঃপ্রাদেশিক (inter-provincial) ভাষা শিক্ষা করা কর্তব্য ইংরেজীকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষারূপে চালু রাখার সপক্ষে তিনি নিম্নোক্ত অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন আমি একজন শিক্ষাবিদরূপে উহার তাঁর প্রতিবাদ জানাইতেছি। ইহা কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও নীতি বিরোধীই নয়, প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের নীতি বিগহিতও বটে। এই প্রবন্ধটির পর গুরুর শহীদুল্লাহ ১৭ই পৌষ, ১৩৫৪ (২ জানুয়ারী ১৯৪৮) তকবীর পত্রিকায় 'পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার ভাষা সমতা' নামে আর একটি লেখা প্রকাশ করেন।৬ এই লেখাটিতে তিনি বাংলা, আরবী, উর্দু এবং বাংলা ভাষায় আরবী হরফ প্রচলনের ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি আরবীকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন এবং তাঁর এই প্রস্তাব সিন্ধু আইন পরিষদের সদস্ত এবং সিন্ধু আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর সৈয়দ আকবর শাহ কর্তৃক সমর্থিত হয়। এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন যে আরবীকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ এবং শহরের বিভিন্ন কেন্দ্র ও মফঃস্বলে 'দরসে কোরানে'র ব্যবস্থা করার জন্যে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়। এর পর ১৯৫১ সালের ১ই ফেব্রুয়ারি করাচীতে বিশ্ব মুসলিম সম্মেলনের প্রকাশ্য অধিবেশনে ইসমাইলী সম্প্রদায়ের নেতা আগা খান বলেন যে আরবীকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্যে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়। এর পর ১৯৫১ সালের ১ই ফেব্রুয়ারি করাচীতে বিশ্ব মুসলিম সম্মেলনের প্রকাশ্য অধিবেশনে ইসমাইলী সম্প্রদায়ের নেতা আগা খান বলেন যে আরবীকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ করার এবং বাংলা ভাষায় আরবী হরফ প্রবর্তনের ঘোর বিরোধিতা সত্ত্বেও ধর্মীয় কারণে আরবীর প্রতি একটা বিশেষ দুর্বলতা এর পূর্বেও ব্যক্ত করেছেন। কয়েক বছর পূর্বে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সেদিন পাকিস্তান রাষ্ট্রের উচ্চ রাজকর্মচারী ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী প্রত্যেক নাগরিকেরই উর্দু শিক্ষা করা প্রয়োজন। এই ভাষা উচ্চ শিক্ষিতদের নিকট স্থপরিচিত; (২) ইংরেজী পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক প্রচলিত আন্তর্জাতিক ভাষা। আমি এই ইংরেজীকেই বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রের উচ্চ রাজকর্মচারী কিংবা রাজনীতিক হইবেন, তাঁহাদের জন্ম একটি আন্তঃপ্রাদেশিক (inter-provincial) ভাষা শিক্ষা করা কর্তব্য ইংরেজীকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষারূপে চালু রাখার সপক্ষে তিনি নিম্নোক্ত অভিমত প্রকাশ করেন। আমরা পাকিস্তান রাষ্ট্রকে একটি আধুনিক প্রগতিীল রাষ্ট্ররূপে দেখিতে চাই। তজ্জন্ন ইংরেজী, ফরাসী, জার্মান, ইতালীয়ান, বা রুশ ভাষাগুলিৰ মধ্যে যে কোনো একটি ভাষা আমাদের উচ্চ শিক্ষার পঠিতব্য